বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবেন। আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রোববার দুপুর ১২টায় ঢাকার গুলশানের বাসভবন থেকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ভার্চ্যুয়ালভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় করোনার টিকা উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আপনাদের জানতে হবে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এখন ষড়যন্ত্র চলে। আপনাদের জানতে হবে, বাংলাদেশের শত্রু কারা। কারা বাংলাদেশে লুটপাট করেছে, তারা এখন কী বলে।
বিএনপির সমালোচনা করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশের লোকজন যখন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন, তখন বিএনপির সাহেবরা সিঙ্গাপুরে যান চিকিৎসা করতে। তিনি বলেন, করোনা মহামারি শুরু হয় গত বছর। এক সাংবাদিক বেটা ইহুদি বলেছিল, ‘বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষ মরে যাবে। এত মানুষ মারা যাবে যে রাস্তায় লাশ পড়ে থাকবে। দুর্গন্ধে চলাচল করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় আমরা দ্রুত ভ্যাকসিন পেয়েছি। আর আমি নিজেও টিকা নেব।’
প্রথমে আখাউড়া থানার তিন পুলিশ সদস্য কনস্টেবল রমিজ উদ্দিন, আবুল হাসেম ও কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ আলম, প্রেসক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়াসহ মোট ৯ জন করোনার টিকার নেন।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত করোনার টিকার নিবন্ধিত ১৪৩ জনের তালিকা আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে পাঠানো হয়। উপজেলায় ২ হাজার ৮০০ করোনার টিকার ডোজ পৌঁছে।
করোনার টিকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাসেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. জয়নাল আবেদীন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) রসুল আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ প্রমুখ।