সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-জ্বরে এক তরুণের (২২) মৃত্যু হয়েছে। ওই তরুণের বাড়ি দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে। আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে গ্রামের কবরস্থানে বিশেষ ব্যবস্থায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।
ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ওই তরুণ নরসিংদীর একটি ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ২৬ মার্চ তিনি বাড়িতে আসেন। এরপর থেকেই তাঁর সর্দি, কাশি ও জ্বর ছিল। বিষয়টি পরিবারের কেউ অন্যদের জানাননি। ওই ব্যক্তিও গ্রামে ও এলাকার বাজারে ঘোরেন। গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর গ্রামের লোকজন ওই বাড়িতে কিছু মাস্ক পাঠান এবং যাতায়াত বন্ধ করে দেন। পরে রাত নয়টার দিকে ওই তরুণ মারা যান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘এখন আমরা শুনতে পারছি, ওই তরুণ অসুখ নিয়েই নরসিংদী থেকে এসেছেন। বিষয়টি জানলে প্রশাসন তাঁকে ধরে নিয়ে যাবে—এই ভয়ে পরিবারের লোকজন কাউকে কোনো কিছুই জানাননি। তিনি তো এলাকায় অবাধে ঘুরেছেন। এখন তো আমরা আতঙ্কে আছি।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া সুলতানা জানান, তাঁরা খবর পেয়ে ওই তরুণের গ্রামের ১০টি এবং ওই তরুণের লাশ দেখতে গিয়েছিলেন এমন দুটি গ্রামের ৭টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন। আশাপাশের লোকজনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ শামস উদ্দিন জানান, যেহেতু ওই তরুণের করোনাভাইরাসের উপসর্গ ছিল, তাই তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়।