শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি বিকল্প ভেন্টিলেটর বা কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস যন্ত্র তৈরি করেছে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি।
‘নিউমেটিক কন্ট্রোল পদ্ধতি’র এই ভেন্টিলেটরের মাধ্যমে একই সঙ্গে আটজন রোগীকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব বলে তাঁদের দাবি। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যদি এই ভেন্টিলেটর ব্যবহারের আওতায় আনা যায়, তাহলে অনেক রোগীর উপকার হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
মেরিন একাডেমির প্রধান কমান্ড্যান্ট নৌ প্রকৌশলী সাজিদ হোসেন ও গবেষণা কর্মকর্তা মুহাম্মদ খালেদ সালাউদ্দিন একাডেমির প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে এই ভেন্টিলেটর তৈরি করেন। প্রচলিত ভেন্টিলেটরের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা এতে নেই। তবে শ্বাসকষ্টে ভোগা রোগীদের সারিয়ে তুলতে এটি অনেকটা কাজ করবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
খালেদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, নিউমেটিক কন্ট্রোল টেকনোলজি হচ্ছে বায়ুচালিত একটা পদ্ধতি। জাহাজের ইঞ্জিন রুমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ওই পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশে প্রথম এই ভেন্টিলেটর তৈরি করা হয়। এই প্রযুক্তির বড় সুবিধা হচ্ছে, একটি কন্ট্রোল ইউনিট দিয়ে প্রায় আটটি শয্যায় অক্সিজেন সরবরাহসহ রোগীকে শ্বাসপ্রশ্বাস সেবা দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, পুরো যন্ত্রটির কন্ট্রোল অংশে সলেনয়েড কন্ট্রোল ভাল্ভ, ম্যাগনেটিক সেন্সর ও টাইম-রিলে এবং প্রেশার অংশে নিউমেটিক পিস্টন-সিলিন্ডার, অক্সিজেন সিলিন্ডার ও একটি ব্যাগ-ভাল্ভ-মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহারের সময় যন্ত্রটিতে অক্সিজেনের চাপ, পরিমাণ ও রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ার হার নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রয়েছে।