শ্বশুর ধার মেটাননি, ক্ষোভে বেড়াতে আসা শ্যালককে হত্যার কথা স্বীকার দুলাভাইয়ের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন মোগরখাল এলাকায় বগুড়া থেকে বেড়াতে আসা কিশোর শ্যালককে হত্যার অভিযোগে দুলাভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নগরের মোগরখাল এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহার আলী ওরফে সোহান (২৮)। তাঁর বাড়ি বগুড়ার সারিয়াকান্দির গোয়ালবাতান গ্রামে। নিহত কিশোরের নাম রানা আহমেদ (১৬)। সে একই উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কাসেম প্রামাণিকের ছেলে। গতকাল সকালে মোগরখাল এলাকার একটি সীমানাপ্রাচীরের পেছনের জমি থেকে কিশোরের লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রানা বগুড়া থেকে দুই সপ্তাহ আগে গাজীপুরের মোগরখাল এলাকায় তাঁর বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। সে কাজ খুঁজছিল। বোনের বাসায় রাতে থাকলেও দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাত বড় ভাই জনির কাছে। গত রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে রানা তার ভাইয়ের কাছ থেকে বোনের বাসার উদ্দেশে বের হয়। কিন্তু সে বাড়ি ফেরেনি। পরদিন সকালে রানার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা বোনের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার শাহার আলী শ্যালককে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। শাহার দাবি করেছেন, তিনি তাঁর শ্বশুরের কাছে ১০ হাজার টাকা পেতেন। শ্বশুর ধার পরিশোধ করছিলেন না। তা ছাড়া এক বছর আগে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। নানা দ্বন্দ্ব থেকে তিনি পরিকল্পিতভাবে রানাকে হত্যা করেছেন। এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এ ঘটনায় বাসন থানায় মামলা হয়েছে। আসামি শাহারকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।