নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পৌর এলাকার উত্তরা আবাসনের বাঙ্গালী পট্টির ২৪/৭ নম্বর বাড়িতে বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর হোসেন (৩২) একই এলাকার তছিমুদ্দীনের ছেলে। পেশায় তিনি ইজিবাইকচালক ছিলেন। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলমগীরের শাশুড়ি আবেদা খাতুনসহ চারজনকে থানায় নিয়ে গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন প্রায় ১০ বছর আগে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে আতিকা পারভীনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু আলমগীরের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলেন। ঘটনার দিন আলমগীর হোসেন ইজিবাইক চালিয়ে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এ সময় তাঁর স্ত্রী পেশাগত কারণে উত্তরা ইপিজেডে অবস্থান করছিলেন। বিকেল পাঁচটার দিকে শোবার ঘরের বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় আলমগীরকে দেখতে পান তাঁর শাশুড়ি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা আলমগীরকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে আলমগীরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্ত্রী আতিকা পারভীন বলেন, কয়েক দিন ধরে স্বামী আলমগীর ঘুমের ঘোরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই আতিকুল ইসলামের দাবি, আত্মহত্যার বিষয়টি সাজানো। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলম বলেন, মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যক্তির শাশুড়িসহ চারজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।