শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন আপিল কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনার কলি মাহবুব। একই সঙ্গে অপর দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্রও বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ রোববার আপিল কর্তৃপক্ষ ও ডিসি আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। ফলে মেয়র পদে আট প্রার্থীর মনোনয়নপত্রই বহাল থাকল। জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মনোনয়নপত্র বৈধতা পাওয়া মেয়র প্রার্থী দুজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. আরিফ রেজা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মো. আল আমিন। তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। হলফনামায় সঠিক তথ্য না দেওয়ায় ১৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাইকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়া দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আমিনুল হক ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী রিনা খাতুন।
পৌরসভার নির্বাচনের মেয়র পদের বৈধ আট প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগ–মনোনীত বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া, বিএনপি–মনোনীত জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম মামুনুর রশীদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আধার, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আরিফ রেজা, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, ব্যবসায়ী মো. আনোয়ারুল সাদ্দাত, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী মো. আতাউর রহমান ও পরিবহন ব্যবসায়ী মো. আল আমিন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, ২৬ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর আগে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হবে। তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে পৌরসভা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেরপুর ও শ্রীবরদী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।