শেরপুরের ঝিনাইগাতি উপজেলায় ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় শেরপুর-ঝিনাইগাতি সড়কের কয়ারোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত মো. দুলাল মিয়া (১৮) উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের চককুমরী গ্রামের আবদুল হালিমের ছেলে। তিনি চলতি বছর ঝিনাইগাতি সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছিলেন। আহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার চককুমরী গ্রামের বাসিন্দা মো. রমজান (৩০) ও আলী আজম (৩৫)। গুরুতর আহত অবস্থায় রমজানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজিজ জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক আত্মীয়ের বিয়েতে অংশ নেওয়ার জন্য রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মোটরসাইকেলে করে ঝিনাইগাতিতে যাচ্ছিলেন দুলাল, রমজান ও আলী আজম। রমজান মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন। তাঁরা শেরপুর-ঝিনাইগাতি সড়কের কয়ারোড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং দুলাল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত হন। গুরুতর আহত হন রমজান ও আলী আজম। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে ঝিনাইগাতি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুলাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে।
ঝিনাইগাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূঁইয়া আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নিহত দুলালের বাবা আবদুল হালিম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তরের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ চালকের সহকারী সেলিম মিয়া ও ট্রাকটিকে আটক করেছে। তবে চালক পলাতক।