শেরপুরে দুই চিকিৎসক, এক পুলিশ কর্মকর্তা, হাসপাতালের কর্মচারীসহ আরও ৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। তবে দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এ ঘটনার পর জেলা সদর হাসপাতাল ও নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স লকডাউন করা হয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম চলবে।
নতুন করে আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন শেরপুরের নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসা কর্মকর্তা, ঝিনাইগাতী থানার একজন পুলিশ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ও জেলা সদর হাসপাতালের দুই কর্মচারী এবং সদর উপজেলার ধলা ইউনিয়নের এক পোশাককর্মী।
এদিকে আজ শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার পর জেলা সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ এবং সদরের উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. মোবারক হোসেন স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে গেছেন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ ও ইউএইচএফপিও মোবারক হোসেন আজ শুক্রবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার করোনা পরীক্ষার জন্য অর্ধশতাধিক নমুনা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে পাঠানো হয়। আজ রাতে পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া যায়। তাতে ওই ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ বলে নিশ্চিত করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক সংস্পর্শের কারণে তাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, করোনা আক্রান্তদের সংশ্লিষ্ট উপজেলার আইসোলেশন ইউনিটে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়াও করোনা পরীক্ষার জন্য তাঁর কার্যালয়সহ তাঁর নিজের ও দুই হাসপাতালের অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে।