নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজ রূপসী-৯-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে যাওয়ার ঘটনায় এক শিশুসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সকালে বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ শাহ সিমেন্ট এলাকা ও হরিহরপুর এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এর মধ্যে একটি লাশের বয়স আনুমানিক ৩২ বছর এবং শিশুটির বয়স আনুমানিক ৪ বছর। এ নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হলো ১০। এ ঘটনায় এখনো দুজন নিখোঁজ আছেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন প্রথম আলোকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পৃথক দুটি স্থান থেকে শিশুসহ দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। লাশগুলো নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, যাঁরা নিখোঁজ আছেন বলে স্বজনেরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এসে লাশ শনাক্ত করলে হস্তান্তর করা হবে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার জয় রামের সাড়ে তিন বছর বয়সী মেয়ে আরোহী, একই জেলার জোবায়ের হোসেন, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের বিষ কাঁঠালি এলাকার আবদুল্লাহ আল জাবের (৩২) ও কুয়েতপ্রবাসী মোসলেম উদ্দিন (৫৫) নিখোঁজ আছেন।
গত রোববার বেলা আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন কার্গো রূপসী-৯-এর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে যায়। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও নিখোঁজ ছিলেন কয়েকজন। আজ সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় দুই শিশুসহ ছয়জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সিগঞ্জের হোসেনদি এলাকা থেকে গতকালই কার্গো রূপসী-৯ জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। কার্গোর মাস্টারকে আটক করা হয়েছে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ব্যাপারীকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়া নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বজলুর রশিদকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ৪ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকেএল-৩ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল সাবিত আল হাসান ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।