নারায়ণগঞ্জ শহরের কয়লাঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেওয়া কার্গো জাহাজটিকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় নোঙর করা অবস্থায় কার্গো জাহাজটি আটক করে কোস্টগার্ড। এ সময় কার্গো জাহাজটির চালকসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। আটক ওই কার্গো জাহাজের নাম এসকেএল-৩।
কোস্টগার্ড পাগলা স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশমাদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ধাক্কা দেওয়ার পর দ্রুত কার্গো জাহাজটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় চলে যায়। সেখানে জাহাজটি রং বদলে ফেলা হয়। কার্গোটি গজারিয়ার কোস্টগার্ড স্টেশনের কাছাকাছি নোঙর করা ছিল। সেখানে অভিযান চালিয়ে কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ আটক করা হয়েছে। এ সময় কার্গোটির চালকসহ আটক করা হয়েছে ১৪ জনকে।
এর আগে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চডুবিতে হতাহত হওয়ার ঘটনায় কার্গোর চালকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানায় হত্যার অভিযোগ এনে মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা) বাবুলাল বৈদ্য। হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে পণ্যবাহী কার্গোটি চালিয়ে লঞ্চটি ডুবিয়ে ৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি সাবিত আল হাসানকে শহরের কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠে প্রাণে বাঁচেন। তবে এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।