নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ এম এল আফসার উদ্দিন ডুবে যাওয়ার ঘটনায় আরও দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্সিগঞ্জের শীতলক্ষ্যা-ধলেশ্বরী নদীর মোহনা থেকে একজনের এবং দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল আট। এ ঘটনায় এখনো চারজন নিখোঁজ আছেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, বেলা দেড়টায় ঘটনাস্থল থেকেই ভাসমান এক নারীর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। লাশটি সোনারগাঁওয়ের স্কুলশিক্ষিকা উম্মে খায়রুন (৪০) বলে তাঁর ভাই জুলফিকার আলী শনাক্ত করেছেন। লাশটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় মুন্সিগঞ্জ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ বছর। বেলা দেড়টা পর্যন্ত কেউ লাশটিকে শনাক্ত করতে পারেননি। লাশটি নারায়ণগঞ্জ নৌ থানায় রাখা হয়েছে।
নৌ পুলিশের তালিকায় নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের মোসলেম উদ্দিন (৫৫), জুবায়ের হোসেন, আরোহী রানী, নারায়ণগঞ্জের আবদুল্লাহ আল জোবায়ের (৩২)। লাশের ছবি আশপাশের থানাগুলোতে পাঠানো হয়েছে। লাশটি মোসলেম উদ্দিন ও আবদুল্লা আল জোবায়েরের না বলে তাঁদের স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় রোববার রাতেই ছয়জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌ পুলিশ। যাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলো মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার জয়নাল ভূঁইয়া (৫৫), আরিফা আক্তার (৩৫), তাঁর ছেলে সাফায়েত (১৫ মাস), স্মৃতি রানী (২০), পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের সালমা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে ফাতেমা (৭)।