খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঘরে ঢুকে ২২ মাস বয়সী এক শিশুর গলায় ছুরি ধরে মুখ–হাত বেঁধে দুই খালাতো বোনকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার সকালে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী একজনের মা। এর আগে প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়। পরে মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈম। রোববার রাতে মুজাহিদ ও আজিজুলকে খুলনা র্যাব-৬ এবং নাঈমকে পুলিশ আটক করে। মামলার পর আজ দুপুরে নাঈমকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ জালাল প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার রাতে ওই দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। রোববার বিকেলে ভুক্তভোগী দুজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
শাহ জালাল আরও বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে নাঈমকে আটক করা হয়। সকালে মামলা হওয়ার পর ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিকেল পর্যন্ত র্যাবের হাতে আটক দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। এ কারণে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা যায়নি। ওই তিনজনের সবাই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে তাঁদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিলেন কি না।
মামলার সূত্রে জানা যায়, শনিবার মধ্যরাতে বটিয়াঘাটা উপজেলার ফুলতলা গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে ওই দুই খালাতো বোনকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়। তাঁদের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ বছর, আরেকজনের ২৪। বড়জনের সম্প্রতি বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁর ২২ মাস বয়সের সন্তান রয়েছে। তিনি খালার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। ঘটনার সময় শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে চুবানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ১৩ বছর বয়সী কিশোরীর মা বলেন, শনিবার বিকেলে তিনি ডুমুরিয়ায় বেড়াতে এবং তাঁর স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময় বাড়িতে তাঁরা দুই বোন ছিলেন। মধ্যরাতে কয়েক যুবক এসে অস্ত্রের মুখে তাঁদের জিম্মি করে হাত ও মুখ বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘরের বাইরে পাহারায় ছিলেন আরও কয়েকজন। রোববার সকালে ফোন করে ঘটনাটি তাঁকে জানানো হয়। এরপর বিকেলে দুই বোনকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।