নরসিংদীর শিবপুর উপজেলায় রাস্তাসংলগ্ন একটি নির্জন পুকুরপাড় থেকে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নিহত ওই যুবকের পরিচয় মিলেছে। গতকাল সোমবার রাত আটটার দিকে নিহত যুবকের পরিবারের সদস্যরা নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তাঁর লাশ শনাক্ত করেন।
এর আগে সোমবার দুপুরে শিবপুরের আয়ুবপুর ইউনিয়নের ঘাগটিয়া গ্রামের নামাপাড়া এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, ওই যুবকের নাম মো. রিয়াদ মিয়া (২৬)। তিনি শিবপুর উপজেলার পুটিয়া ইউনিয়নের কারারচর এলাকার মো. আলাউদ্দীন মিয়ার ছেলে। থার্মেক্স গ্রুপের স্থানীয় একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, সোমবার সকালে ওই রাস্তা ধরে যাওয়ার সময় কয়েকজন পথচারী পুকুরসংলগ্ন স্থানটিতে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় সেখানে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখতে পান তাঁরা। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তাঁদের মধ্য থেকে একজন সকাল ১০টায় শিবপুর থানা-পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে শিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান আহমেদ দুপুর ১২টায় ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ওই যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ বলছে, অজ্ঞাতনামা ওই যুবকের লাশ উদ্ধারের পর থেকেই দিনভর নানা মাধ্যমে তাঁর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। অন্যদিকে রোববার রাত থেকেই রিয়াদের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সোমবার সন্ধ্যার দিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধারের খবর জানতে পারেন তাঁরা। পরে রাত আটটার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে গিয়ে রিয়াদের লাশ শনাক্ত করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সেখানে কান্নার রোল পড়ে যায়।
শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া জানান, নিহত রিয়াদের বুক, পেট, গলা, হাতসহ শরীরের অন্তত পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ছুরিকাঘাতে হত্যার পর তাঁর লাশ ওই নির্জন স্থানে ফেলে রেখে গেছে হত্যাকারীরা। তবে কী কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক নারীকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।