রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

শিক্ষার্থীদের ভেতরে রেখে হলের পাঁচ কক্ষে তালা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলে পাঁচটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের রেখেই বাইরে থেকে তালা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দেওয়া এক শিক্ষার্থী ওই তালা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।

হল সূত্রে জানা যায়, তালা দেওয়া কক্ষগুলোর নম্বর হলো হলের দ্বিতীয় ব্লকের দোতলার ২১৯, ২২০, ২২১, ২২২ ও ২২৩। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর তালা লাগানোর বিষয়টি জানাজানি হলে হল প্রশাসন তালাগুলো ভেঙে শিক্ষার্থীদের বের করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে দুপুর দুইটার দিকে হল গেটে তালা লাগিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করেন শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী। পরে প্রাধ্যক্ষ সুজন সেন, প্রক্টর লিয়াকত আলী, রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ হলে আলোচনায় বসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, ‘আমি তখন কক্ষে বসে পড়ছিলাম। বাইরে থেকে দরজা নাড়ানোর শব্দ হচ্ছিল। দরজার কাছে গিয়ে দেখি, দরজা খুলছে না। দরজায় তালা লাগানো। দরজার ফাঁক দিয়ে একটা ছেলেকে চলে যেতে দেখি।’

ঘটনার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাঈদ বিন একরাম। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাংগঠনিক সম্পাদক। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে আমরা কয়েকজন হলে উঠতে ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে কয়েকটি সিট চাইছিলাম। কিন্তু তাঁরা অনেক দিন ধরেই দিচ্ছেন না। এ ঘটনার প্রতিবাদে আমরা কয়েকজন হলে তালা দিই।’

এ ঘটনায় বক্তব্য জানতে প্রাধ্যক্ষ সুজন সেনের মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি ধরেননি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমরা হলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমাদের কর্মী কি না, তা জানা নেই।’