ফাঁদ পেতে শিকার করা ডাহুকটি রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মুক্তির জন্য ছটফট করছিল পাখিটি। গতকাল রোববার সিলেট রেলস্টেশনে প্রিয়েতেনিয়া পিয়া নামের এক তরুণী শিকারির কাছ থেকে পাখিটি কিনে জলাশয়ে মুক্ত করে দেন। এমন কাজের জন্য মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এই ছাত্রীকে আজ সোমবার ধন্যবাদপত্র দিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
আইন বিভাগের ছাত্রী প্রিয়েতেনিয়া পিয়ার বাড়ি খোজারখলায়। প্রতিদিন তিনি রেলস্টেশন হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। পিয়া বলেন, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে একজন শিকারি একটি ডাহুক পাখি বিক্রির জন্য রেলস্টেশনে বসে ছিলেন। পাখি শিকার ও বিক্রি আইনত নিষিদ্ধ, বিষয়টি প্রিয়েতেনিয়া জানেন। তিনি ডাহুকটি মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর কাছে পাখিটির দাম চাওয়া হয় ৮০০ টাকা। পরে ৬০০ টাকায় দাম ঠিক হয়। সঙ্গে ওই পরিমাণ টাকা না থাকায় বাসা থেকে এনে প্রিয়েতেনিয়া পাখিটি কিনে নেন। পরে তিনি পাখিটি ছেড়ে দেন।
সিলেট রেলস্টেশন এলাকার লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পারেন বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আবদুল করিম চৌধুরী। আজ সোমবার প্রিয়েতেনিয়াকে বাপার পক্ষ থেকে একটি লিখিত ধন্যবাদপত্র দেওয়া হয়।
বাপার যুগ্ম সম্পাদক ছামির মাহমুদ ‘ছোট্ট এই ঘটনা শিক্ষণীয়’ মন্তব্য করে বলেন, ‘আমরা পাখির প্রতি প্রিয়েতেনিয়ার ভালোবাসায় মুগ্ধ। যাতে পাখি কিনে আর অবমুক্ত করতে না হয়, এ জন্য বন বিভাগের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের মুঠোফোনের নম্বর দিয়েছি তাঁকে। আমাদেরও জানাতে বলেছি। প্রিয়েতেনিয়ার কেনা ডাহুকটি অবমুক্ত করার পর ঘটনাস্থল থেকে বন বিভাগের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়। সিলেট রেলস্টেশন এলাকায় তাদের নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছে।’