সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গতকাল শনিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
নোয়াগাঁওয়ে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩৩ জন গ্রেপ্তার হলেন। এর মধ্যে মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মিয়াকে (৫০) গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে আজ রোববার শাল্লা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
শহিদুল ইসলাম দিরাই উপজেলার নাসনি গ্রামের বাসিন্দা ও সরমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিনি এই হামলার পেছনের মূল ইন্ধনদাতা।
নোয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস (২৮) হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন—এমন অভিযোগ তুলে গত বুধবার সকালে আশপাশের চার গ্রামের লোকজন ওই গ্রামে হামলা চালায়। এ সময় গ্রামের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর–লুটপাট করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলা করে শাল্লা থানার পুলিশ, অপর মামলাটি করেন নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা স্থানীয় হবিবপুর ইউপির চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার।