প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন আচরণবিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়লেও তাঁকে নোটিশ দেওয়া বা শাস্তির আওতায় আনার মতো নয়। তিনি আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগে মর্গ্যান গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজে সিটি নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োগকৃত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ–৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলন আচরণবিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়েছে কি না, জানতে চাইলে সিইসি বলেন, সংসদ সদস্যরা প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রচারণায় নামলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। শামীম ওসমানের সংবাদ সম্মেলনটি আচরণবিধি ভঙ্গের মধ্যে পড়ে। তবে তাঁকে নোটিশ বা শাস্তির আওতায় আনতে হবে, এমন আচরণবিধি তিনি লঙ্ঘন করেননি।
সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মানুষ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা তাঁদের মতো করে অনেক কথা বলতে পারেন। আমরা আমাদের মতো করে কাজ করি। এতে যদি তাঁদের কোনো সুবিধা হয়, হতে পারে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো রকমের শৈথল্য নেই।’
গত ইউপি নির্বাচনে প্রাণহানির প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘গত নির্বাচনে লোক মারা গেছে, সেটা কীভাবে আমি আপনাদের মাধ্যমে অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি। কীভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপর সেই দায়বদ্ধতা আসে, সেটা আমার হিসাবে মেলে না।’ তিনি বলেন, যখন নির্বাচন হয়ে যায়, ভোটাররা বাড়ি চলে যান; তখন নির্বাচনী মালামাল নিয়ে দূরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাওয়ার পথে শত শত লোক এসে তাঁদের ঘেরাও করে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে। সেখানে প্রতিরোধ করতে গিয়ে অনেক পুলিশ সদস্য রক্তাক্ত হন, নিহতও হন। প্রার্থী ও সমর্থকদের সহনশীলতা ও নির্বাচনকালীন আচরণবিধি অনুসরণ করা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না।