শাবিপ্রবির পাঁচ প্রাক্তন শিক্ষার্থী আটক, অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে অনশনরত এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন সহপাঠীরা
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পাঁচ প্রাক্তন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করা ও আইনসংগত কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এ কথা বলেন।

আজবাহার আলী শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষায়িত শাখা সবাইকে ঢাকা থেকে আটক করেছে। পরে ঢাকা থেকে বিকেলে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের সিলেটে জালালাবাদ থানায় বুঝে পেয়েছি।

তাঁরা সবাই শাবিপ্রবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তাঁদের বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ করার কারণেই তাঁদের আটক করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা হলেন টাঙ্গাইলের সখীপুর দারিপাকা গ্রামের হাবিবুর রহমান খান (২৬), বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীকোলা গ্রামের রেজা নুর মুইন (৩১), খুলনার সোনাডাঙ্গার ছাত্তার বিশ্বাস রোড এলাকার এ এফ এম নাজমুল সাকিব (৩২), ঢাকার মিরপুর মাজার রোড এলাকার বাসিন্দা এ কে এম মারুফ হোসেন (২৭) ও কুমিল্লার মুরাদনগর নিয়ামতপুর গ্রামের ফয়সাল আহমেদ (২৭)।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন।

তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ও তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।