বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে করা মামলায় চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার রহিমাবাদের বি ব্লক ও সি ব্লক এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
গ্রেপ্তার চার তরুণ হলেন উপজেলার রহিমাবাদ উত্তরপাড়ার রাব্বি হাসান (২০), তাঁর প্রতিবেশী আরেফিন (২৮), আরেফিনের ভাই নিশাত (২২) ও ফুলকোট গ্রামের আবদুল্লাহ (২৪)। মামলার প্রধান আসামি রাব্বি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১২ (র্যাব) বগুড়া ক্যাম্পের স্পেশাল কোম্পানির সদস্যরা। বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে শাজাহানপুর থানা-পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাব্বি হাসানের সঙ্গে মুঠোফোনে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ওই নারীকে দেখা করার কথা বলে ১৩ জুলাই শাজাহানপুর উপজেলার একটি বাসায় ডেকে নেন রাব্বি। সেখানে অস্ত্রের মুখে রাব্বি হাসান ও তাঁর সহযোগীরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মুঠোফোনে ধারণ করেন। ধর্ষণের শিকার ওই নারী বাড়িতে ফিরে তাঁর স্বামী ও তাঁর পরিবারের কাছে খুলে বলেন।
ওই নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, থানায় মামলা করতে গেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনা মীমাংসা ও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। বিষয়টি র্যাবকে জানানো হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মূল হোতা রাব্বি হাসানকে গ্রেপ্তার করে। পরে পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আপসের চেষ্টার বিষয়টি তাঁদের জানা নেই। তবে গতকাল রাতে ওই নারী বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন। এরপরই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।