নরসিংদী রেলস্টেশনের আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে শত শত লোকের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের হুইসেলের শব্দের কারণে লোকজন নিষেধ করলেও তিনি শুনতে পারেননি। এ কারণেই প্রাণ হারান তিনি।
ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ব্যক্তির নাম নওয়াব মিয়া (৪০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরের রূপসদী গ্রামের মৃত শাজাহান মিয়ার ছেলে। নওয়াব মিয়া পাইকারি কাপড়ের হাট শেখেরচর-বাবুরহাটে আমানত শাহ গ্রুপের লুঙ্গির শোরুমের ভ্যানগাড়ির চালক ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার একটু আগে ওই ব্যক্তি নরসিংদী স্টেশনটির ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের একটি ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। পরে তিনি কিছু কেনার জন্য ওই প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে তিনটি রেললাইন পার হয়ে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ওঠেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে আবার একইভাবে ২নম্বর প্ল্যাটফর্মে ফেরত যাওয়ার সময় তিনি ট্রেনে কাটা পড়েন।
রেলওয়ে পুলিশ বলছে, রাত ৯টা ২৫ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বিরতিহীন আন্তনগর সোনার বাংলা এক্সপ্রেস নরসিংদী রেলস্টেশন অতিক্রম করছিল। এ সময় নওয়াব মিয়া স্টেশনটির ১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমে অসতর্কভাবে রেললাইন পার হচ্ছিলেন। শত শত লোকের ডাক-চিৎকার ও ট্রেনের কয়েক দফা হুইসেলও তার কানে পৌঁছায়নি।
এ সময় নওয়াব মিয়া ২ নম্বর রেললাইন পার হওয়ার সময় সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন তিনি। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায় এবং ডান পা ও বাঁ হাত কেটে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় পাশে একটি মুঠোফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর পরিচয় উদ্ধার করা হয়। নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী জানান, কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।