২৪ ডিসেম্বর প্রথম আলোর অনলাইনে ‘শজারু শিকারের ছবি ফেসবুক লাইভে প্রচার’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর সেই চা-বাগানকর্মীর মুচলেকা নিয়েছে বন বিভাগ। আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বন বিট কর্মকর্তা নবীন ধর ওই মুচলেকা নেন।
নবীন ধর বলেন, শজারু শিকারের ঘটনা ও ফেসবুকে লাইভ দেওয়ার বিষয়টি প্রথম আলোর খবরে দেখতে পেয়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা চা-বাগানের কর্মী আশু দাশকে ডেকে এনে মুচলেকা নেওয়া হয়। এ ছাড়া কোদালা চা-বাগান এলাকাকে ‘কমিউনিটি কনজারভেশন’ এলাকা হিসেবে সংরক্ষণের জন্য ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নের সুপারিশ করে চা-বাগান ব্যবস্থাপককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের রাঙ্গুনিয়া রেঞ্জের কোদালা বন বিট কর্মকর্তা নবীন ধর প্রথম আলোর প্রতিবেদন পড়ে বিষয়টি জেনে চা-বাগানের ওই কর্মীকে ডেকে এনে মুচলেকা নেন।
২৬ ডিসেম্বর কোদালা চা-বাগানের ব্যবস্থাপককে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রথম আলোর অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর কোদালা ইউনিয়নের কোদালা চা-বাগান এলাকায় আশু দাশের নেতৃত্বে একদল চা-শ্রমিক ফেসবুকে লাইভে এসে সংরক্ষিত বন্য প্রাণী শজারু হত্যার ভিডিও দুপুরে প্রকাশ করে। ২৬ মিনিটের ভিডিওতে পরিকল্পিতভাবে বন্য প্রাণী হত্যার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। চা-শ্রমিকেরা কোদালা চা–বাগান এলাকায় ও আশপাশের বন থেকে প্রায় ফাঁদ পেতে বন্য প্রাণী শিকার করছেন, যা বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন পরিপন্থী। বন্য প্রাণী মৃত্যু রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। সেই সঙ্গে চা–বাগান এলাকাকে কমিউনিটি কনজারভেশন এলাকা হিসেবে সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়নে চা-বাগানের ব্যবস্থাপককে সুপারিশ জানানো হয়।
জানতে চাইলে আশু দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘না জেনেবুঝে নিজের অজান্তে অপরাধ করে ফেলেছি। নিজের দোষ স্বীকার করেছি। ভবিষ্যতে অপরাধ করব না এবং প্রয়োজনে বন্য প্রাণী সংরক্ষণে সহযোগিতা করব মর্মে বন বিভাগকে মুচলেকা দিয়েছি।’