লোহাগড়ায় গলায় খাবার আটকে ৯ বছরের শিশুর মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নড়াইলের লোহাগড়ায় গতকাল রোববার গলায় খাবার আটকে আবদুল্লাহ নামের এক শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলা সদরের আর এল পাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত। উপজেলা সদরের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের জুনায়েদ খন্দকারের ছেলে সে। দুই ভাইয়ের মধ্যে আবদুল্লাহ ছোট।

আবদুল্লাহর আত্মীয় মো. আকতার মোল্লা বলেন, গতকাল সকালে আবদুল্লাহর মা তাকে স্কুলে দিয়ে আসেন। দুপুর ১২টার দিকে স্কুল ছুটি হয়। ছুটির পর স্কুলের পাশে একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে চিকেন বার্গার খেতে গেলে গলায় খাবার আটকে যায়। দোকানের কর্মচারীরা তার গলা থেকে আটকে যাওয়া খাবার বের করার চেষ্টা করেন; তবে পারেননি। নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাঁরা শিশুটিকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। গতকাল রাতেই তাকে দাফন করা হয়।

ওই দোকানের মালিক সোহাগ কাজী বলেন, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন না। শিশুটির গলায় খাবার আটকে গেলে স্থানীয় লোকজন ও কর্মচারীরা তাকে হাসপাতালে নেন।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপাশা মোশারফ বলেন, শ্বাসনালিতে খাবার আটকে শিশুটি মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসপাতালে আনার পর দেখা যায়, তার মুখ নীল হয়ে গেছে। সে নিস্তেজ হয়ে গিয়েছিল। মৃতপ্রায় অবস্থায় শিশুটিকে হাসপাতালে আনা হয়।

লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা বলেন, পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।