সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন গোলাখালী গ্রামে বাঘের আতঙ্কে লোকজন ঘর থেকে বের হচ্ছে না। গ্রামবাসীর দাবি, গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে সুন্দরবন থেকে একটি বাঘ গোলাখালী গ্রামে চলে আসে। ১৫ মিনিটের মতো হাঁটাহাঁটি করে বাঘটি আবার বনে ফিরে যায়।
গোলাখালী গ্রামটি একেবারে সুন্দরবনঘেঁষা। তিন দিকে নদী আর এক দিকে সুন্দরবন। বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপগ্রামে ১২০টি পরিবারের বসবাস। তাদের পেশা সুন্দরবনের নদ–নদীতে মাছ ধরা।
গোলাখালী গ্রামের আকলিমা খাতুনের ভাষ্য, ‘আমি সন্ধ্যার দিকে দেখি, সুন্দরবনের খাল পেরিয়ে একটি বাঘ লোকালয়ে ঢুকছে। আমি চিৎকার দিলে আরও লোকজন আসে। বাঘটি খালের পাশে হাঁটাহাঁটি করতে থাকে। আমরা বাজির শব্দের পাশাপাশি টিনে শব্দ করতে থাকি। বাঘ কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করে বনের মধ্যে চলে যায়।’
গ্রামের ভোলানাথ মণ্ডল বলেন, বাঘের ভয়ে গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত। রাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
বাঘ নিয়ে কাজ করা আবদুল গণি ওরফে টাইগার গণি বলেন, তিনি গতকাল সোমবার সকালে গোলাখালী গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন। বাঘ যে এলাকায় থাকে, সেখানে ঘোরাঘুরি করে। সাধারণত শিকার ধরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে বাঘ লোকালয়ে এসে উৎপাত করে।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের কৈখালী স্টেশন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, খাল পেরিয়ে গোলাখালীতে একটি বাঘ এসেছিল বলে তিনি শুনেছেন। সেখানে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গেছে।