নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকারের ছুরিকাঘাতে জুবায়ের হোসেন নামের একজন নিহত হন। নিহত জুবায়েরও হকার ছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার লাশ রেখে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের মাসদাইর এলাকায় সড়ক অবরোধ করা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। এতে আধঘণ্টা পর সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে জুবায়ের হত্যার ঘটনায় তাঁর মা মুক্তা বেগম বাদী হয়ে হকার নেতা আসাদুল ইসলামসহ আটজনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে মামলা করেন। তবে পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মুক্তা বেগম বলেন, তাঁর ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ গভীর রাত পর্যন্ত বসিয়ে রেখে মামলা নেয়নি। তিনি তাঁর ছেলে হত্যার বিচার ও জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যক্তির স্বজন ও এলাকাবাসী ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ গ্রহণ করেন। এরপর দাফন করতে কবরস্থানে যাওয়ার পথে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। খবর পেয়ে তাঁদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অবরোধের কারণে ওই সড়কে আধঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
লাশ নিয়ে স্বজনদের সড়ক অবরোধ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ জামান বলেন, মামলা হয়নি বলে স্বজনদের ভুল বোঝানো হয়েছিল। তিনি বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের সাধুপৌলের গির্জার সামনের ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়ের হোসেনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।