করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বিবেচনায় নিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলার তিনটি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়নকে 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসন কড়া নজরদারি করেছে। এটা কার্যকর থাকবে ৩০ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত।
'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে লক্ষ্মীপুর, রায়পুর ও রামগঞ্জ পৌরসভাকে। ইউনিয়নগুলো হলো লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামছাদী, দালালবাজার, পার্বতীনগর, ভাঙ্গাখাঁ, চন্দ্রগঞ্জ, মান্দারী ও কুশাখালী, রামগতি উপজেলার চর আলেকজান্ডার, চর লরেন্স ও চর ফলকন এবং কমলনগর উপজেলার হাজীর হাট ও তোয়াবগঞ্জ।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল ও রামগঞ্জের ইউএনও মুনতাসির জাহান বলেন, রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকছে। এসব এলাকায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি থাকছে। তবে অতি প্রয়োজনীয় বা জরুরি কাজের জন্য অফিস খোলা রাখা যাবে। সে ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বা তার চেয়ে কম জনবল নিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে হবে। ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া সব ধরনের বিপণিবিতান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় গত আড়াই মাসে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪৮। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ২০৮, রায়পুরে ৫৩, রামগঞ্জে ৮৫, কমলনগরে ৭২ ও রামগতি উপজেলায় ৩০ জন রয়েছেন। এ ছাড়া জেলায় এ পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন নয়জন।
লক্ষ্মীপুর জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও সিভিল সার্জন মো. আব্দুল গাফ্ফার বলেন, জেলার বিভিন্ন এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়ছে। তাই 'রেড জোন' হিসেবে চিহ্নিত এলাকায় সব ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করছেন তাঁরা।