লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট গ্রহণ চলাকালে একটি কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাইফুল হাসান লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রোববার ভবানীগঞ্জ কলেজ কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী তাহমিনা আক্তার (ঢোল প্রতীক) তাঁকে লাঞ্ছিত করেন। তাহমিনা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল খালেকের স্ত্রী।
চশমা প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল হাসান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। সাইফুল বলেন, তিনি সকালে ভবানীগঞ্জ কলেজের ভোটকেন্দ্রে যান। স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন।
সেখানে গিয়ে তিনি (সাইফুল) দেখেন, নৌকার এজেন্টদের কারণে ভোটাররা ইভিএম মেশিনে ভোট দিতে পারছেন না। নৌকার এজেন্টরাই ভোট দেওয়ার বোতামটি টিপে দিচ্ছেন। সেটা দেখে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। এ সময় তাহমিনা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় তাহমিনা তেড়ে এসে ন্যক্কারজনকভাবে তাঁকে কয়েকটি ধাক্কা দেন। একপর্যায়ে গায়ে হাতও তোলেন। এ সময় কেন্দ্রের উপস্থিত ভোটাররা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে তাহমিনা আক্তার বলেন, সাইফুল হাসানই তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।
ভবানীগঞ্জ কলেজ কেন্দ্রে নিয়োজিত পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সহিদুল ইসলাম জানান, দুই প্রার্থীর মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে তিনি পরিস্থিতি শান্ত করেন।
রিটার্নিং কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে ১৫টি ইউপিতে রোববার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। ১৫টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে ৮৯ প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এবার প্রার্থী হয়েছেন ১১ জন।