লকডাউনের মধ্যে পিকআপ ভ্যানে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে কম দামে মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে শরীয়তপুর প্রাণিসম্পদ বিভাগ। আজ বুধবার সকাল থেকে জেলা শহরে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্রয়লার মুরগি ক্রয় করার মাধ্যমে সকালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনদীপ ঘরাই, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তরুণ কুমার রায়, জেলা পোলট্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সামাদ প্রমুখ।
তিনটি ভ্যানে করে জেলা শহর ও পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় মুরগির মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পোলট্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন। বিভিন্ন খামার থেকে মুরগি, ডিম ও দুধ সংগ্রহ করে এসব বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি মুরগির মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ব্রয়লার ১৩০ টাকা ও লেয়ার ২০০ টাকা; ডিম প্রতি হালি ২৬ টাকা; দুধ প্রতি সের ৬০ টাকা।
জেলা পোলট্রি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুস সামাদ বলেন, লকডাউনের কারণে ক্রেতাদের হাটে-বাজারে আসতে অসুবিধা। আবার অনেক খামারির উৎপাদিত ডিম-দুধ বিক্রিতেও সমস্যা। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারিতে জনসাধারণের প্রাণিজ পুষ্টি নিশ্চিত করা জরুরি বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সুবোধ কুমার দাস। তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যে কম দামে প্রাণিজ পুষ্টি পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ কার্যক্রমে সহায়তা করছে।
জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান বলেন, ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাংস, ডিম ও দুধ কম দামে পৌঁছে দেওয়া ভালো একটি উদ্যোগ। এতে মানুষের বাজারে ভিড় করতে হবে না। পাশাপাশি খামারিরাও তাঁদের উৎপাদিত সামগ্রী সহজে বিক্রি করতে পারবেন।