বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আওয়ামী লীগ নেতা উথোয়াইনু মারমার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ শনাক্ত ও আটক হয়নি। এ ঘটনায় আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলাও হয়নি। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা লাশ সৎকার নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে আসেনি বলে জানায় থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নের তালুকদারপাড়ায় গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় গুলি করে উথোয়াইনু মারমাকে হত্যা করা হয়। নিহত উথোয়াইনু তারাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তাঁর লাশ আজ বান্দরবান সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
হামলার সময় ক্রাথুইচিং মারমা নামের আরেক নারী আহত হন। তিনি এখন বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, অস্ত্রধারীরা গোপনে পাড়ায় ঢুকে উথোয়াইনু মারমার ছোট ভাইয়ের বাড়িতে যায়। উথোয়াইনু সেখানে বাড়ির বেড়ায় হেলান দিয়ে পাড়ার আরও কয়েকজনসহ কথা বলছিলেন। অস্ত্রধারীরা বাড়ির ভেতরে ঢোকেননি। বেড়ার বাইরের থেকে উথোয়াইনুকে পেছন থেকে গুলি করেছে। এ জন্য অস্ত্রধারীদের কাউকে তাঁরা দেখতে পাননি। আর তিনি (ক্রাথুইচিং) উথোয়াইনুর কোনাকোনিতে বসেছিলেন। একটি গুলি তাঁর ঊরুতে লেগেছে।
তালুকদারপাড়াবাসী বলেন, ২০১৬ সালের ৫ জুলাইয়েও একবার চাঁদাবাজদের সঙ্গে পাড়াবাসীর সংঘর্ষ হয়েছিল। তখন আতঙ্কে অনেক পরিবার পাড়া ছেড়ে জেলা শহরে আশ্রয় নেয়। পরে পাড়ার কাছাকাছি পুলিশ ক্যাম্প হওয়ায় আবার পরিবারগুলো পাড়ায় ফিরে আসে। কিন্তু উথোয়াইনু মারমার হত্যাকাণ্ডের পর তারা আবার আতঙ্কে রয়েছে।
রোয়াংছড়ি থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, উপর্যুপরি গুলিবর্ষণে ফলে সৃষ্ট আঘাত ও রক্তক্ষরণে উথোয়াইনু মারমার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।