রোহিঙ্গাদের শীর্ষনেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন আজ মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
তিন আসামি হলেন উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি-৮ ব্লকের আবদুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ ওরফে মুরশিদ আমিন, একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ। সবাই মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য বলে অভিযোগ।
২৩ অক্টোবর ভোররাতে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মুহিবুল্লাহ হত্যা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই তিন আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তাঁদের একজন আজিজুল হক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন জানান, মুহিবুল্লাহ হত্যার মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল সোমবার কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আজ মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিরা সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, গ্রেপ্তার চার আসামি আজিজুল হক, মুরশিদ আমিন, নুর মোহাম্মদ ও মো. আনাছ মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের সদস্য। তাঁদের একজন আজিজুল হক ইতিমধ্যে হত্যার দায় স্বীকার করে কক্সবাজার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। হামলার জন্য মিয়ানমারের সশস্ত্র গ্রুপ আরসার (আল-ইয়াকিন নামেও পরিচিত) কয়েকজন অস্ত্রধারীর নাম প্রচার করা হয়।
পরদিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।