রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনের মৃত্যুর মামলা তদন্ত করবে সিআইডি

৮ জুলাই বিকেল সাড়ে পাঁচটার পর কারখানা ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানার আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের করা মামলাটির তদন্তভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ আদেশ এসেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম।

পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর। পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে থানা-পুলিশের কাছ থেকে তদন্তভার সিআইডিকে হস্তান্তরের নির্দেশনা এসেছে। নির্দেশনা অনুযায়ী মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার নথি, আলামতসহ সবকিছু তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করবেন।

মামলা হস্তান্তর ও তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিআইডি থেকে আগামী শনিবার তদন্তভার গ্রহণ করা হবে। যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ১৮টি ইউনিট একটানা ৪৮ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

আগুনে পুড়ে মৃত্যুর ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হ‌ুমায়ূন কবীর বাদী হয়ে কারখানামালিক আবুল হাসেম ও তাঁর চার ছেলে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাসেম ফুড কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল বুধবার আদালতে হাজির করা হলে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ ছয়জনকে কারাগারে পাঠান বিচারক। জামিন পান আবুল হাসেমের দুই ছেলে।