নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আট আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে গত সোমবার বিকেলে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত তাঁদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, কার্গো জাহাজের মাস্টারসহ আট আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে নৌ পুলিশ আদালতে হাজির করলে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নৌ পুলিশের পরিদর্শক মো. ফোরকান বলেন, তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা লঞ্চটি দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন। যখন তাঁরা কার্গো জাহাজের সঙ্গে লঞ্চের সংঘর্ষ হয়েছে দেখতে পান, তখন তাঁরা ভয়ে দ্রুত কার্গো জাহাজ চালিয়ে পালিয়ে যান।
মামলার বাদী অভিযোগ করেন, গত রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এল এম আফসার উদ্দিন নামের যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে ডুবিয়ে দেয় এমভি রূপসী-৯ নামের কার্গো জাহাজ। বেপরোয়া গতিতে কার্গো জাহাজ চালিয়ে লঞ্চ ডুবিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জাহাজের মাস্টার, সুকানিসহ আটজনকে আসামি করা হয়েছে।
গত রোববার দুপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ আফসার উদ্দিন-২-কে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয় কার্গো জাহাজ রূপসী-৯। মুন্সিগঞ্জের হোসেনদি এলাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কার্গো জাহাজটিকে জব্দ করে নৌ পুলিশ। জাহাজের মাস্টারসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি করা হয়েছে।