যন্ত্রচালিত যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে শুধু রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও সাইকেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে সিলেট অঞ্চলের প্রথম সেতু ঐতিহ্যবাহী কিনব্রিজ।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে সেতুর দুই দিকের লোহার বেষ্টনী কেটে দিয়ে কিনব্রিজ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীদের চলাচলের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে কিনব্রিজ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে বলে ওই সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান।
যন্ত্রযান বন্ধে সিটি করপোরেশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, আজ বুধবার সকাল থেকে কিনব্রিজ দিয়ে শুধু রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও বাইসাইকেল চলাচল করতে দেখা গেছে। ৫২ দিন শুধু পায়ে হাঁটার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল কিনব্রিজ। এ সুযোগে সেতুর প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়।
ব্রিটিশ আমলে লোহার কাঠামোয় দৃষ্টিনন্দন সেতুর নির্মাণ হয় ১৯৩৬ সালে। আসাম প্রদেশের তৎকালীন গভর্নর মাইকেল কিনের নামে এই সেতুর নামকরণ হয় কিনব্রিজ। প্রায় আট দশক ধরে সচল এই সেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপর সংস্কার করে চলছে চলাচল। লোহা দিয়ে তৈরি কিনব্রিজের আকৃতি অনেকটা ধনুকের মতো বাঁকানো। সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৫০ ফুট এবং প্রস্থ ১৮ ফুট। তৃতীয় দফা সংস্কারের জন্য গত ১ সেপ্টেম্বর সেতুর দুই দিকে লোহার বেষ্টনী দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৫২ দিন পর উন্মুক্ত কিনব্রিজ দিয়ে এবার যন্ত্রযান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গতকাল রাতে কিনব্রিজ উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ২৬ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষা উপলক্ষে সিলেট নগরে আসবেন লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, কিনব্রিজের দক্ষিণ দিকের মানুষজনের যাতায়াত ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে রিকশা, ঠেলাগাড়ি ও বাইসাইকেল চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যন্ত্রযান চলাচল বন্ধে কিনব্রিজের উভয় পাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও ট্রাফিক বিভাগের নজরদারির পাশাপাশি সিটি করপোরেশনেরও বিশেষ নজরদারি থাকবে।