খুলনার খালিশপুর, দৌলতপুরসহ পাঁচটি পাটকলের অস্থায়ী দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ ও রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো চালুর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শ্রমিকেরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল কারখানা কমিটির উদ্যোগে খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শ্রমিকেরা উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনভুক্ত (বিজেএমসি) দেশের পাঁচটি পাটকল (খালিশপুর জুট মিল, দৌলতপুর জুট মিল, জাতীয় জুট মিল, আর আর জুট মিল ও কেএফডি জুট মিল) দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক দিয়ে পরিচালনা করা হতো। এর মধ্যে খুলনারই রয়েছে দুটি পাটকল। এসব পাটকলে প্রায় ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শ্রমিকেরা কোনো টাকাই পাননি। তাই শ্রমিকদের বকেয়াসহ সব পাওনা পরিশোধ করে বন্ধ হওয়া দেশের ২৫টি পাটকল আবার সরকারিভাবে চালু করতে হবে।
শ্রমিকেরা জানিয়েছেন, পাটকল বন্ধ হওয়ার আগপর্যন্ত মিলের শ্রমিকেরা মজুরি কমিশনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে এসেছেন। কিন্তু পাটকল বন্ধের প্রায় ১৪ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও পাঁচটি মিলের শ্রমিকেরা বকেয়া টাকা পাননি। সেই সঙ্গে সরকার ঘোষিত দুই মাসের বিধিনিষেধের টাকা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২০০৯ সালে সংসদ নির্বাচনের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে চাকরি দেওয়া হবে। দেশের কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে না, বন্ধ সব শিল্পপ্রতিষ্ঠান চালু করা হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার শিল্পবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো। পাটকল বন্ধের পর থেকে হাজার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খালিশপুর ও দৌলতপুর জুট মিল কারখানা কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের সদস্যসচিব এস এ রশীদ, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী, শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র-জনতা ঐক্য পরিষদের খুলনা জেলা সমন্বয়ক রুহুল আমীন, কারখানা কমিটির সহসভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন।