খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১২) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে রামগড় থানায় মামলাটি করেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম বেলায়েত হোসেন (৪২)। তিনি রামগড়ের লামকুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও রামগড়ের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল ছুটির পর শিক্ষক বেলায়েত হোসেন ওই শিক্ষার্থী ও তার এক সহপাঠীকে শ্রেণিকক্ষে অবস্থান করতে বলেন। তার সহপাঠীকে শ্রেণিকক্ষের প্রথম সারিতে এবং ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে পেছনের সারিতে বসতে বলেন তিনি। এরপর পেছনের সারিতে গিয়ে তিনি ওই শিক্ষার্থীর শরীরের বিভিন্ন অংশে স্পর্শ করেন। ওই শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় শিক্ষক বেলায়েত তার হাতে ১০০ টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাড়িতে এসে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। তার মা স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানানোর পর তাদের পরামর্শে গতকাল রাতে রামগড় থানায় গিয়ে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন শিক্ষক বেলায়েত হোসেন। তিনি বলেন, আশপাশের এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ নেই। তাই এলাকার লোকজন বিদ্যালয়ে এসে মুঠোফোনে চার্জ দেন। তিনি বিদ্যালয়ে মুঠোফোন চার্জ দিতে বাধা দেন বলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রথম আলোকে বলেন, স্কুল ছুটির পর বাসায় এলে বিদ্যালয়ের আরেক সহকারী শিক্ষক বিষয়টি তাঁকে মুঠোফোনে জানান। এ ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, এ ব্যাপারে এখনো তিনি জানেন না। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবেন।
রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জজামান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।