রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় মৃত হরিণটি মাটিচাপার স্থানে দাড়িয়ের পাশে দুটি হরিণ। আজ সকালে।
রাজশাহী শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় মৃত হরিণটি মাটিচাপার স্থানে দাড়িয়ের পাশে দুটি হরিণ। আজ সকালে।

আবার হরিণের মৃত্যু

রাজশাহীতে শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানায় আবার হরিণের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, এখন প্রজনন মৌসুম চলছে। দুটি হরিণের মারামারির সময় একটি হরিণ আরেকটির পেটে শিং ঢুকিয়ে দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার সকালে হরিণটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন চিড়িয়াখানার কর্মচারীরা। পরে ওই চত্বরের ভেতরেই সেটিকে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ সময় অন্য হরিণগুলো সকরুণ দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে ছিল। পরে তাদের মাটিচাপা দেওয়ার স্থানের চারপাশে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানাটি পরিচালনা করে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। চিড়িয়াখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সমর পাল প্রথম আলোকে বলেন, এখন হরিণের প্রজননকাল চলছে। এ সময় ওরা খুবই উত্তেজিত থাকে। একটি মাদি হরিণের সঙ্গে মেশার জন্য দুটি পুরুষ হরিণ নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। একটি হরিণ আরেকটি পুরুষ হরিণের পেটের ভেতরে শিং ঢুকিয়ে দেয়। এতে রাতেই হরিণটি মারা গেছে। প্রতিবছরই এ রকম হয়। দু-একটা হরিণ মারা যায়। একই কথা বলেন, সিটি করপোরেশনের ভেটেরিনারি সার্জন ফরহাদ উদ্দিন।

সমর পাল জানান, গত এপ্রিলে কুকুরের হামলায় ৪টি হরিণ মারা গেছে। তার আগে চিড়িয়াখানায় ৭৬টি হরিণ ছিল। এপ্রিল মাসে ৪টি মারা যাওয়ার পরে ৭২টি ছিল। একটি মারা যাওয়ার পরে এখন আর ৭১টি হরিণ আছে।