রাজশাহীতে করোনাভাইরাস পরীক্ষার সময় অকার্যকর নমুনার হার বেড়েই চলেছে। এমনকি এক দিনে সর্বোচ্চ ৬৫টি নমুনা অকার্যকর পাওয়া গেছে। গত শুক্রবার পর্যন্ত অকার্যকর নমুনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৫টি, যা মোট নমুনার ২৩ শতাংশের বেশি। এই অবস্থায় পিসিআর মেশিনে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, তা যাচাই করে দেখার জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী জেলার মধ্যে বিভিন্ন উপজেলা পর্যায় থেকে টেকনোলজিস্টরা এই নমুনা সংগ্রহ করে থাকেন, রাজশাহী মহানগর এলাকার ভেতর থেকে আলাদা একটি দল এই নমুনা সংগ্রহ করে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকেও নমুনা আসে। সেগুলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগে স্থাপিত করোনা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। গত ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়। ৪ মে পর্যন্ত ৩৮৪টি নমুনা অকার্যকর পাওয়া যায়। তখন পর্যন্ত সবার এই ধারণাই ছিল যে সংগ্রহের পর্যায়েই কোনো ত্রুটি হচ্ছে।
>গত ১ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হয়
৪ মে পর্যন্ত ৩৮৪টি নমুনা অকার্যকর পাওয়া যায়
তখন পর্যন্ত সবার এই ধারণাই ছিল যে সংগ্রহের পর্যায়েই কোনো ত্রুটি হচ্ছে
এর আগে অকার্যকর নমুনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর সিভিল সার্জন মহা. এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেছিলেন, যাঁরা নমুনা সংগ্রহ করছেন, তাঁদের হয়তো যতটা কাছে থেকে নমুনা সংগ্রহ করা দরকার, ভয়ে তাঁরা অতটা কাছে যেতে পারছেন না। অথবা তাঁদের অদক্ষতার কারণেও এটা হতে পারে।
মাঠপর্যায়ে নমুনা সংগ্রহ করছেন এমন একজন টেকনোলজিস্ট জানিয়েছেন, একটি নমুনা সংগ্রহের পেছনে তাঁদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তাঁদের সংগ্রহে কোনো ভুল থাকলে সেটা ধরিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তা তো করা হচ্ছে না। তাঁদের ধারণা, ল্যাবেই তাঁদের সংগৃহীত নমুনা নষ্ট হচ্ছে। বেশি নমুনা জড়ো হওয়ার কারণে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। অথবা মেশিনের কোনো ত্রুটি থাকতে পারে।
রাজশাহী করোনা ল্যাবের ইনচার্জ সাবেরা গুলনেহার বলেন, ত্রুটি নমুনা সংগ্রহের পর্যায়েও হতে পারে। আবার মেশিনের কারণেও হতে পারে। এই জন্য তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বুধবার পিসিআর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা আসতে চেয়েছে। মেশিনের কোনো ত্রুটি থাকলে তারা ঠিক করে দিয়ে যাবে।