রাজবাড়ীতে সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গুলিতে নিহত

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীতে আওয়ামী লীগের এক নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

নিহত ব্যক্তির নাম আবদুল লতিফ মিয়া। তিনি রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি বানিবহ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি এবারও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তাঁর বাড়ি মহিষবাথান গ্রামের পুকুরচালা এলাকায়।

লতিফের আত্মীয় মোহাম্মদ আলী বলেন, বানিবহ বাজার থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন লতিফ মিয়া। এ সময় তাঁর সঙ্গে মেহেদী হাসান নামের এক প্রতিবেশী ছিলেন। লতিফের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে মেহেদীদের বাড়ি। মেহেদীকে তাঁর বাড়ির সামনে নামিয়ে দেওয়ার পর নিজের বাড়ির কাছে যান। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায় । তাঁর শরীরে পাঁচটি গুলি লাগে।

মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, হামলার ঘটনার পর লতিফের স্বজনেরা তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেন। এরপর তাঁকে ফরিদপুর নেওয়া হলে সেখান থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু ফেরিতে ওঠানোর পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা লতিফের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, গুলিতে আহত আবদুল লতিফ মিয়া ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যান। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করার চেষ্টা চলছে।