রোগীর ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করা নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে কর্মচারীর বাগ্বিতণ্ডার জের ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। আজ শুক্রবার সকাল থেকে হাসপাতালে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ ও কর্মচারী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ছাড়পত্র দিয়ে স্বাক্ষর চাইলে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ব্যস্ততার কথা জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে গতকাল রাত থেকে হৃদ্রোগ বিভাগের ক্ষুব্ধ ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতির ডাক দেন। পরে আজ সকাল থেকে অন্য ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাও এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এদিকে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে ডাকা এই ধর্মঘট দুর্ভোগ বাড়িয়েছে রোগীদের। একদিকে করোনা পরিস্থিতির পাশাপাশি ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মবিরতি ডাকা ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনেরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে ছাড়পত্র দিয়ে স্বাক্ষর চাইলে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক ব্যস্ততার কথা জানান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
ধর্মঘটের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সানাউল হুদা বলেন, ‘আমরা কর্মবিরতিতে যেতে চাইনি। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা প্রায় সময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাসিয়ে থাকেন। এ নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় থাকি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি।’
অন্যদিকে কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মশিউর রহমান বলেন, একজন রোগীর ছাড়পত্রে স্বাক্ষর করার বিষয়ে কর্মচারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে তেমন কোনো কিছু বলেননি। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রোস্তম আলী বলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাজে যোগদান নিয়ে আলোচনা চলছে।