পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার যশমন্তদুলিয়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর নাম নার্গিস খাতুন (৩১)। তিনি সাঁথিয়ার যশমন্তদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের (৩৫) স্ত্রী। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বাবা হোসেন আলী গত শুক্রবার নজরুল ইসলামসহ দুজনকে আসামি করে সাঁথিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে নজরুল ইসলামের সঙ্গে বেড়ার আমিনপুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের হোসেন আলীর মেয়ে নার্গিস খাতুনের বিয়ে হয়। নার্গিস খাতুন স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই নজরুল ইসলাম নার্গিস খাতুনের কাছে যৌতুক দাবি করেন। নার্গিস খাতুন বাবার বাড়ি ও চাকরির টাকা থেকে সাধ্যমতো স্বামীর চাহিদা পূরণ করেছেন। কিন্তু দিনে দিনে নজরুলের যৌতুকের চাহিদা বাড়তেই থাকে। মঙ্গলবার বিকেলে নজরুল নার্গিসের কাছে আবারও যৌতুকের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় নজরুল ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার রড দিয়ে নার্গিস খাতুনকে পেটান। খবর পেয়ে নার্গিসের বাবার বাড়ির লোকজন সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যৌতুক ও নারী নির্যাতন আইনে মামলা গ্রহণের পরপরই আমরা নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছি। তাঁকে ইতিমধ্যেই জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’