ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় যৌতুকের টাকা চেয়ে না পেয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে তারাকান্দা থানায় মামলা করেন। মামলার পর থেকে ওই নারীর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক আছেন।
আজ শুক্রবার তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, যৌতুক না পেয়ে ২০ বছর বয়সী অন্তঃসত্ত্বা নারী কাকলী আক্তারের মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছেন তাঁর স্বামী শাহ পরান (২৫)। এ ঘটনায় ওই নারী বৃহস্পতিবার বিকেলে তারাকান্দা থানায় তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তিন আসামি হলেন তাঁর স্বামী শাহ পরান, শ্বশুর আবদুর রব ও দেবর মো. জহিরুল।
ওই নারীর পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাসে তারাকান্দা উপজেলার কামারগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আবুল বাশারের মেয়ে কাকলী আক্তারের সঙ্গে একই উপজেলার প্রজাবতখিলা গ্রামের আবদুর রব মিয়ার ছেলে শাহ পরানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু হয় তাঁর ওপর। বিয়ের তিন মাস সংসার চলার পর গত বছরের জুন মাসে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হন। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়তে থাকে। পেটের সন্তান নষ্ট করার জন্যও চাপ দিতে থাকেন তাঁর স্বামী। নির্যাতনের একপর্যায়ে ৩০ জানুয়ারি স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দেন শাহ পরান। মাথা ন্যাড়া করার পর তাঁকে তিন দিন বাড়িতে আটকে রাখা হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অভিযুক্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।