যুবকের শরীরের ৪৫ জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে বসে গল্প করার সময় দুর্বৃত্তরা ১০-১২টি মোটরসাইকেলে এসে তাঁর ওপর হামলা চালায়। যুবকটি এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় বুধবার বিকেলে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করা হয়েছে। কেন তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হলো, এ বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। সোমবার মধ্যরাতে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
জখম হওয়া ওই যুবকের নাম শফিকুল ইসলাম ওরফে সুমন (২৬)। তিনি নগরের হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার মোমিনুল ইসলামের ছেলে। তাঁর মা সেলিনা বেগম বাদী হয়ে বুধবার বিকেলে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।
মামলায় নগরের হড়গ্রাম নতুনপাড়া এলাকার কনক (৩৫), সজল (২৫), ডিপলু (৩৫), মইদুল (২৫) ও হাসান (২৪); হড়গ্রাম পীরসাহেব পাড়ার সোহাগ (২৪), হাবিব (২৫), শাওন (২৩) ও আকরাম (২৬); বুলনপুর এলাকার সাগর (২৮); বহরমপুর দাশপুকুর এলাকার টাইগার (৪০) ও মাখন (২৮); হড়গ্রাম মাঠপাড়া এলাকার পাপ্পু (২৪) ও রাজপাড়া থানার আলীগঞ্জ ল্যাটাপাড়ার আতিকুলের (২৫) নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ কার্যালয়ের সামনে বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছিলেন শফিকুল ইসলাম। এ সময় ১০/১২টি মোটরসাইকেলে করে এসে হামলাকারীরা শফিকুলকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাঁর বন্ধুরা প্রাণভয়ে পালিয়ে যান। শফিকুলকে একা পেয়ে হামলাকারীরা হাঁসুয়া, চায়নিজ কুড়াল, ছুরি, লাঠিসোঁটা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপায়। শফিকুলের মাথা, দুই হাত, পা, পিঠসহ ৪৫ জায়গায় গুরুতর জখম হয়। এ সময় চিৎকার শুনে শফিকুলের মা-বাবাসহ স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসেন। তখন হামলাকারীরা অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। এরপর শফিকুলকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার বাদী শফিকুলের মা বলেছেন, তাঁর ছেলের শরীরে ৪৫ স্থানে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। কেন তাঁর ওপর এমন নির্মম হামলা করা হয়েছে, তা তিনি বলতে পারছেন না। ছেলেও কিছু বুঝতে পারছে না।
এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আলী বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ কাজ হয়েছে। ছেলেটাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পুলিশ আসামিদের ধরার চেষ্টা করছে।’