যশোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে যশোর সদর উপজেলার পদ্মবিলা বাজার এলাকায় যশোর-খুলনা মহাসড়কে এবং ভাটার আমতলা এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ও অন্যজন সাইকেল আরোহী। মোটরসাইকেল আরোহী দুজন হলেন সাইফুর রহমান (৬০) ও মনজেল মজুমদার (৫৫)। নিহত অন্যজন হলেন সাইকেল আরোহী রণজিৎ সরকার (৬০)।
নিহত সাইফুর যশোর সদর উপজেলার ঘুনী গ্রামের আবদুল আজিজ মোল্যার ছেলে এবং মনজেল একই গ্রামের মোকসেদ মজুমদারের ছেলে। তাঁরা দুজনে ব্যবসায়ী ছিলেন। সম্পর্কে শ্যালক-ভগ্নিপতি। নিহত রণজিৎ সরকার যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার মাজিয়ালী গ্রামের ইন্দ্রভূষণ সরকারের ছেলে। তিনি একজন কৃষক ছিলেন।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে পুলিশ জানায় সাইফুর রহমান ও তাঁর ভগ্নিপতি মনজেল মজুমদার আজ সকালে যশোর সদর উপজেলা ঘুনী গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলে করে যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে বসুন্দিয়া মোড়ের দিকে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিলেন মনজেল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলটি উপজেলার পদ্মবিলা বাজার এলাকায় পৌঁছালে যশোর থেকে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাক মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কের ওপর পড়ে সাইফুর ও মনজেল গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করেন। বেলা একটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজন মারা যান।
নওয়াপাড়া হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম বলেন, দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এদিকে বারোবাজার হাইওয়ে পুলিশ জানায় আজ সকালে রণজিৎ সরকার সদর উপজেলার ভাটার আমতলা বাজারে সবজি বিক্রি করে সাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাটার আমতলা এলাকায় যশোর-মাগুরা মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এ সময় যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে যশোরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বারোবাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান বলেন, বাসের ধাক্কায় রণজিৎ সরকার মারা গেছেন। মাগুরা পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।