চতুর্থ দফায় ময়মনসিংহের ২টি উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে তারাকান্দা উপজেলার ১০টিতে আওয়ামী লীগের জয়জয়কার এবং গৌরীপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ভরাডুবি হয়েছে। তারাকান্দায় সাতটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। আর গৌরীপুর উপজেলায় সাতটিতে হেরেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা আর একটি ইউনিয়নের ফলাফল স্থগিত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকেই ছিল অসন্তোষ। দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ সমর্থকদের অভিযোগ, জনপ্রিয় ও যোগ্য প্রার্থীদের অনেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। ফলে মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তিরা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন।
এতে আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী-সমর্থক প্রকাশ্যে, আবার অনেকে গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ফলে ভোটে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহীদের জয়ের সংখ্যা বেশি। গৌরীপুরের ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে সিধলী ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনায় ওই ইউপির ফলাফল স্থগিত রয়েছে। গৌরীপুর ও সহনাটিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বোকাইনগর, ডৌহাখালা ও রামগোপালপুর ইউপিতে জয়ী হয়েছেন বিদ্রোহীরা। বাকি চারটিতে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ে ভুলের কারণে গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের ফলাফল ভালো হয়নি। আমরা তৃণমূলের মতের ভিত্তিতে যে প্রার্থীদের নাম জেলায় পাঠিয়েছি, তাঁদের তালিকা জেলায় বদল হয়েছে। আবার জেলা থেকে যেসব নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, সে তালিকাও বদল হয়েছে বলে জেনেছি। সঠিক প্রার্থী বাছাই হয়নি।’
গৌরীপুরের বিপরীত চিত্র তারাকান্দায়। তারাকান্দার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে তারাকান্দা, বানিহালা, কামারিয়া, ঢাকুয়া, রামপুর, গালাগাঁও ও বালিখা ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। কাকনি, বিসকা ও কামারগাঁও ইউনিয়নে জয় পেয়েছেন বিদ্রোহীরা। তারাকান্দার একাধিক সাধারণ ভোটার বলেন, এ উপজেলায় নির্বাচনের শুরুতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ থাকলেও নির্বাচনের আগে আগে তা ঠিক হয়ে যায়। এ কারণে নৌকার প্রার্থীরা ভোটে ভালো ফলাফল পেয়েছেন।