মৌলভীবাজার জেলায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬৭ জন। বেশির ভাগই সুস্থ হয়েছেন বাসাবাড়িতে আইসোলেশনে থেকে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আজ সোমবার জানানো হয়েছে, সারা জেলায় কোভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৬৮। আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ৫০১ জনই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন। আক্রান্তের হিসাবে সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা জেলায় সবশেষ করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫ জনের। এর মধ্যে চারজন নমুনা দিয়েছিলেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে। আর একজন নমুনা দিয়েছিলেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ জন। এর মধ্যে ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করেছিল মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল, ১ জনের নমুনা নেয় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ২ জনের নমুনা নিয়েছিল শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, জেলায় সুস্থ হওয়া ১ হাজার ৫০১ জনের মধ্যে ১ হাজার ৩৮৯ জনই বাসাবাড়িতে ছিলেন। আর হাসপাতালে থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২১ জন। এর মধ্যে বাড়িতে মারা গেছেন ৯ জন এবং হাসপাতালে মারা গেছেন ১২ জন। জেলার প্রথম রোগী মারা যান রাজনগর উপজেলায়। গত ৪ এপ্রিল গ্রামের বাজারের ওই ব্যবসায়ী করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। পরে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন তউহীদ আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, দু-তিন সপ্তাহ হলো আগের থেকে এখন করোনা রোগী একটু কম। কিন্তু এখনই এ জেলা বিপদমুক্ত বলার সময় আসেনি। এখনো প্রতিদিনই দু-চারজন নতুন করে কোভিড পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছেন। সামনে শীতকাল আসছে। বিপদ আরও বাড়তে পারে। এখন কেউ আর মাস্ক পরতে চাইছে না, স্বাস্থ্যবিধি মানছে না—এটাই শঙ্কার।