রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে করা মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ব্যক্তির মুঠোফোন থেকে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র জব্দ করেছে পুলিশ।
ঘটনার শিকার ওই স্কুলছাত্রীর মা গতকাল শনিবার রাতে বাদী হয়ে মোহনপুর থানায় মামলা করেন।
স্কুলছাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আল আমিন ওরফে মোমিন (৪৩)। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর গ্রামে। বাবার নাম তাহাসিন আলি। আল আমিনকে আজ সকালে আদালতে হাজির করা হয়।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মেয়ের মা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি ধারা যুক্ত করা হয়েছে। মামলায় দুটি অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
ওসি জানান, আল আমিন মোহনপুর উপজেলার একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। গত ১৫ জুলাই বেলা একটার দিকে স্কুলছাত্রীকে ওই ভাড়া বাড়িতে ধর্ষণ করে সেটির ভিডিও ধারণ করেন। মেয়েটির পরিবারের লোকজন পরদিন ঘটনাটি জানতে পারেন। তবে মান–সম্মানের কথা চিন্তা করে বিষয়টি চেপে যান। তাঁরা ওই সময় কোনো আইনি পদক্ষেপ নেননি। পরে আল আমিন ধর্ষণের ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন মেয়েটির পরিবারকে।
এ ঘটনায় মেয়ের মা গতকাল শনিবার রাতে মামলা করেন।
ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, প্রথমে মেয়েটি ধর্ষকের কোনো ঠিকানা বলতে পারেনি। শুধু মুঠোফোন নম্বর দিতে পেরেছে। মুঠোফোনের মাধ্যমেই আল আমিনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই ব্যক্তি চারটি বিয়ে করেছেন। প্রথম দুই স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। তৃতীয় স্ত্রী থাকা অবস্থায় ওই স্ত্রীর ছোট বোনকেও বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে আবার স্কুলছাত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তার আল আমিনের মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিওটি পাওয়া গেছে। সেটি আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।