রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় একটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে (৪৭) দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী নারী মোহনপুর থানায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের একটি মামলা করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তি একই ইউপির সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন ওই নারী। তিন সন্তানের জননী ওই নারী এক মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে অবিবাহিত ইউপি সদস্যের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বিয়ে করবেন বলে গত বুধবার ওই নারীকে বাড়িতে তুললেও গতকাল ভোরে ওই নারীকে রেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান ইউপি সদস্য। গতকাল সকালে মজিবরের অন্য স্বজনেরা এসে ওই নারীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ওই নারী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
মামলার এজাহারে ওই নারী উল্লেখ করেছেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে টানা কয়েক দিন তাঁকে ধর্ষণ করেছেন ওই ইউপি সদস্য। পরে পালিয়ে যান। এ ছাড়া ওই বাড়িতে অবস্থানকালে বাড়ির অন্য সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়। এ ছাড়া মারপিট করায় চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে অন্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।