মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফয়সাল বিপ্লব থানায় যাওয়ার পর তাঁর সমর্থকেরা আজ বুধবার আধা ঘণ্টা সদর থানা প্রাঙ্গণ ও প্রধান ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় থানা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেয়রের সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করার পর এ ঘটনা ঘটল। তবে মেয়র জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুটি ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে রয়েছেন সাংসদ মৃণাল কান্তি দাস। অন্য পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ ও তাঁর ছেলে পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পৌরসভার পাঁচঘরিয়া কান্দি এলাকায় সাংসদপক্ষের সমর্থক শহর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ওয়াহিদুজ্জামান বাবুর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে মেয়রপক্ষের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাদ সাগর ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে। আজ মেয়র ফয়সাল বিপ্লব থানায় যান। এ সময় তাঁর সমর্থকেরা দুপুর পৌনে ১২টা থেকে সোয়া ১২টা পর্যন্ত থানার প্রধান ফটক ঘেরাও করে অবস্থান নেন। এতে শহরের থানা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কাউন্সিলর সোহেল রানা, আবদুস সাত্তার মুন্সি ও আওলাদ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হোসেন, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল মৃধা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম প্রমুখ।
৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আওলাদ হোসেন বলেন, ‘থানায় এমপির লোকজনের মামলা নেয়। মেয়র সাহেবের পক্ষের মামলা নেয় না। উল্টো হয়রানি করে। আমরা এটার প্রতিবাদ করতে থানায় এসেছিলাম।’
এ সম্পর্কে মেয়র ফয়সাল বিপ্লব বলেন, ‘আমরা থানা ঘেরাও করিনি। থানায় গিয়েছিলাম নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। পরে নেতা-কর্মীদের নিয়ে চলে এসেছি।’
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, পৌর মেয়র শুভেচ্ছা বিনিময় করতে এসেছিলেন। তিনি জনপ্রতিনিধি। তিনি যখন থানায় আসেন, তাঁর সঙ্গে তাঁর নেতা–কর্মীরা চলে আসেন। থানা ঘেরাওয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
ওসি আরও বলেন, গতকাল পৌরসভার পাঁচঘরিয়া কান্দি এলাকায় সেখানকার কাউন্সিলর সাগর ও ওয়াহিদুজ্জামান বাবুল নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে তুচ্ছ একটি ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পক্ষ দুটি থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া যায়। মেয়র এসেছিলেন যেন এ ঘটনায় কাউকে হয়রানি করা না হয়।