পেঁয়াজ সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখলেও বর্তমানে আমদানি কিছুটা কমেছে। চলতি ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ১১ হাজার ১৭ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। প্রতিবার অন্তত ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তবে গত তিন দিন গড়ে সাড়ে ৭০০ টন করে পেঁয়াজ এসেছে। দেশীয় নতুন পেঁয়াজ বাজারে ওঠায় আমদানিকারকেরা এখন কিছুটা কম পেঁয়াজ আমদানি করছেন।
টেকনাফ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল শনিবার আটজন ব্যবসায়ী ১২টি ট্রলারে ৬৮৪ দশমিক ৩৩৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছেন। টেকনাফ স্থলবন্দরের কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন বলেন, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে গড়ে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও এখন কিছুটা কমেছে। গত তিন দিনে গড়ে ৭০০ টন করে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩ টন, অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ টন ও নভেম্বরে ২১ হাজার ৫৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় মিয়ানমার থেকে।
কাস্টমস সুপার আফসার উদ্দিন আরও বলেন, ভারত গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে প্রথম চালানে ৬৫০ টন পেঁয়াজ আসে। এরপর থেকে গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৫৬ হাজার ৭৯ দশমিক ১১৬ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানায়, গতকাল যাঁরা পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাঁরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাশেম, মো. নাছির, যদু দাশ, শওকত আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ সজীব, মোহাম্মদ মাসুম, এহতেশামুল হক ও মোহাম্মদ সেলিম।
ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন বলেন, স্থলবন্দর দিয়ে আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে। গতকাল রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৫০টি পেঁয়াজভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।