বজরায় লৌহজং নদ পার হয়ে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। রোববার দুপুরে তিনি হেঁটে মির্জাপুর গ্রামের আরও চারটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার পৌত্র কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহার আমন্ত্রণে রোববার মির্জাপুরে আসেন রবার্ট ডিকসন। সকাল পৌনে ১০টায় তিনি মির্জাপুরের কুমুদিনী কমপ্লেক্সে পৌঁছালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহিনুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন ও কুমুদিনী হাসপাতালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) অনিমেষ ভৌমিক তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি কুমুদিনী লাইব্রেরিতে চা–চক্র শেষে কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমস, কুমুদিনী নার্সিং স্কুল ও কলেজ ঘুরে দেখেন। এর আগে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন।
কুমুদিনী কমপ্লেক্স ঘুরে রবার্ট ডিকসন বজরা নৌকায় (বড় আকারের ডিঙি) লৌহজং নদ পার হয়ে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার বাড়ির পূজামণ্ডপে যান। রণদার পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি হেঁটে মির্জাপুর গ্রামের চারটি পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখেন। দুপুরে মধ্যাহ্নভোজ শেষে রণদার পূজামণ্ডপে তিনি ভক্তদের পূজা–অর্চনা দেখেন।
পরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে দুর্গাপূজা খুবই সুন্দর ও দর্শনীয় একটি অনুষ্ঠান। এই উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য তিনি খুব আগ্রহী ছিলেন। মানুষ তাঁদের ধর্মীয় এ উৎসব সুন্দরভাবে পালন করছেন, যা দেখে তাঁর খুবই ভালো লেগেছে। বাংলাদেশ খুবই চমৎকার। এখানকার গ্রামীণ পরিবেশের রাস্তা তাঁকে মুগ্ধ করে। আর এ কারণে এই দেশে থাকতে তাঁর বেশি ভালো লাগে। তিনি আরও বলেন, কুমুদিনীর স্থাপনাগুলো তাঁকে মুগ্ধ করেছে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন। কুমুদিনী হাসপাতাল স্বাস্থ্য খাতে এ দেশের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।