ময়মনসিংহ নগরের ‘হারুন টাওয়ার’ নামে একটি মার্কেটের মালিকের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মানববন্ধনের আয়োজন করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে মানববন্ধন শেষ হওয়ার পরপরই পাশে কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অন্তত ৩১ জনকে আটক করেছে।
বিকেল পৌনে চারটার দিকে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।’
ব্যবসায়ীরা জানান, সি কে ঘোষ রোডে অবস্থিত হারুন টাওয়ারের মালিকের নাম গোলাম আম্বিয়া হারুন। হারুন টাওয়ার মুঠোফোন ও মুঠোফোন যন্ত্রাংশের জন্য পরিচিত মার্কেট। শতাধিক ব্যবসায়ী এ মার্কেটে ব্যবসা করছেন।
মানববন্ধনে ব্যবসায়ীরা বলেন, সম্প্রতি গোলাম আম্বিয়া হারুন বিনা কারণে মার্কেট থেকে ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার ঘোষণা দেন। অনেক ব্যবসায়ীকে চুক্তির নিয়ম না মেনে উচ্ছেদের হুমকি দিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা দেওয়া এবং সম্প্রতি এক ব্যবসায়ীকে মারধর করার ঘটনা তিনি ঘটিয়েছেন। গোলাম আম্বিয়া হারুনের এ ধরনের আচরণ যেকোনো মূল্যে তাঁরা প্রতিরোধ করবেন। প্রয়োজনে ময়মনসিংহের সব ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এর আগেও গোলাম আম্বিয়ার নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে।
আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিন্দনীয়। গোলাম আম্বিয়া হারুন এ হামলার সঙ্গে জড়িত।উজ্জল সরকার, সাধারণ সম্পাদক, হারুন টাওয়ার ব্যবসায়ী সমিতি
মানববন্ধন শেষ করে ব্যবসায়ীরা যখন মার্কেটে নিজেদের দোকানে যাওয়া শুরু করেন, তখন কাছাকাছি এলাকায় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। হারুন টাওয়ারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক উজ্জল সরকার বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা নিন্দনীয়। গোলাম আম্বিয়া হারুন এ হামলার সঙ্গে জড়িত।’
এ ব্যাপারে কথা বলতে চেষ্টা করা হলে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। বিকেলে বাড়িতে যোগাযোগের চেষ্টা করলে, তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে জানা যায়।
ককটেল বিস্ফোরণের পর হারুন টাওয়ারের ব্যবসায়ীরা আগামী শনিবার ময়মনসিংহের সব মার্কেট বন্ধের ডাক দেন। তবে বেলা পৌনে তিনটার দিকে ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আমিনুল হক শামীম ও সহসভাপতি শংকর সাহা হারুন টাওয়ারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি স্থগিত করান।
শংকর সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন এ অপরাধীদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে সময় দেন।’